Monday, September 23, 2019

এরিয়ার ছাড়াই পে কমিশন লাগু হচ্ছে ১ জানুয়ারি থেকে


রাজ্য সরকারের কর্মীদের বেতনক্রম পর্যালোচনার জন্য ষষ্ঠ পে কমিশন গঠিত হয়েছিল ২৭ নভেম্বর, ২০১৫-এ, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে। অধ্যাপক অভীরূপ সরকার ওই কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন। ছ'মাসের মধ্যে কমিশনকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হলেও পরে তা বার বার বাড়তে থাকে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার রিপোর্ট পেয়েছে এবং ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর করা হবে।

ষষ্ঠ পে কমিশনের  সুপারিশ মেনে নিল রাজ্য সরকার। সোমবার ওই সুপারিশে সিলমোহর মেরে রাজ্য সরকার জানিয়ে দিল আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে চালু হবে নয়া বেতনক্রম। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘‘মন্ত্রিসভা আজ পে কমিশনের সুপারিশ মেনে নিয়েছে। এবং এটি কার্যকরী হবে ১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে। রাজ্য সরকার তার কর্মীদের ২০১৬ সাল থেকে ধারণাগত প্রভাব হিসেব করে বেতন বাড়িয়ে দিচ্ছে।''

ডিএ-র সঙ্গে বেসিক পে ও গ্রেড পে যুক্ত করা হল। অর্থমন্ত্রী বলেন, এর ফলে যাঁর বেসিক পে ছিল ১০০ টাকা, তা বেড়ে হল ২৮০.৯০ টাকা। তবে এক প্রশ্নের উত্তরে অমিত মিত্র জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার কোনও এরিয়ার দেবে না এর ফলে ৪৮ মাসের এরিয়ার থেকে বঞ্চিত হবেন সরকারি কর্মচারীরা ।

নুতুন পে কমিশনের উল্লেখযোগ্য বিন্দু গুলি হলো:

- পে কমিশন লাগু হচ্ছে ১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে

- কোনও এরিয়ার দেওয়া হবে না।
- বাড়িভাড়ার ভাতা ৬,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২,০০০ টাকা করা হল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। কমিশন সুপারিশ করেছিল অঙ্কটা হোক ১০,৫০০ টাকা।
- গ্র্যাচুইটি ৬ লক্ষ থেকে টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ লক্ষ টাকা 
- বাড়ি ভাড়া ভাতা হচ্ছে ১২%
- বেতন বাড়ছে ১৪.২২%
- বর্ধিত ডিএ নিয়ে কোনো কথা বলা হয়নি


এই পে প্যানেলের সুপারিশ মেনে নেওয়ার ফলে তা বাবদ বার্ষিক ১০,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্য সরকারের, জানিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতরের এক সূত্র।

এরিয়ার না পাওয়ায় ও ডিএ নিয়ে কোনো ষ্পষ্টতা না থাকায় এই পে কমিশন সরকারি কর্মচারী দের কতটুকু খুশী করতে পারবে তা এখন দেখার বিষয়। 

No comments:

Post a Comment

कोरोनावायरस के खिलाफ अपने प्रतिरक्षा प्रणाली को बढ़ावा देना: संक्रमण के जोखिम को कम कैसे करें?

विश्व स्वास्थ्य संगठन द्वारा कोविद - 19 या कोरोनवायरस को वैश्विक महामारी घोषित किया गया था।  और जब देश आसन्न खतरों से जूझ रहे है...