২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর বকেয়া ডিএ নিয়ে স্যাট-এ মামলা দায়ের করেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল রায় দেয় যে, ডিএ দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে রাজ্যের। স্যাটের সেই রায় ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
স্যাটের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠন। দেড় বছর শুনানির শেষে ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়, মহার্ঘভাতা কর্মীদের আইনি অধিকার।
এর পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার কলকাতা হাই কোর্টে রিভিউ পিটিশন দায়ের করে । তার জেরে এই মামলায় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের রায় দান নিয়ে বাধা দূর হল। ১৩ মার্চ ডিএ মামলায় রায় দেওয়ার কথা ট্রাইব্যুনালের।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রিভিউ পিটিশন খারিজ হওয়ার ফলে উল্লসিত প্রতিবাদী সরকারি কর্মীরা। এদিন বিচারপতি হরিশ ট্যাণ্ডন ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় হারে এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ডিএ পাবেন কি না, তা ঠিক করবে স্যাট। এমন কি, মহার্ঘ ভাতার হারও নির্ধারণ করবে ট্রাইব্যুনাল।
এখন স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের ঠিক করবে যে কেন্দ্রীয় হারে এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ডিএ পাবেন কি না, বা ডিএ দেওয়ার মাপকাঠি ই বা কি হবে ।
স্যাট - এর রায় ও রাজ্য সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যের সরকারী কর্মচারীরা । তবে ভোটের মরশুমে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাবে কি না এটাও একটা দেখার বিষয় কারন এবারের ভোটে হয়তো সপ্তম বেতন কমিশন ও বকেয়া মোহার্গ ভাতা একটা বড় ইস্যু হয়ে উঠবে, কারন দেশের প্রায় সব রাজ্যেই ইতিমধ্যে সপ্তম বেতন কমিশন চালু হয়ে গেছে ।
No comments:
Post a Comment